গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টার বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন শতাধিক। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় হামলার ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে।
একই সময়ে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব নিয়ে আজ সোমবার থেকে মিসরের রাজধানী কায়রোয় শুরু হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এতে অংশ নিচ্ছেন ইসরায়েল, হামাস, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের প্রতিনিধিরা। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে গাজায় আটকে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
তবে এই বৈঠক চলাকালেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে আইডিএফ। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়া’আল জামির বলেছেন, “যদি কায়রোর বৈঠক ব্যর্থ হয়, তবে আমরা পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করব।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেছেন, “গাজার শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত ও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নিতে হবে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই।”
গাজায় প্রতিদিনের হামলা এখন ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।