রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন অধ্যায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে বৈঠক করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র টমাহক সরবরাহে রাজি হয়, তবে যুদ্ধের ভারসাম্য নাটকীয়ভাবে বদলে যেতে পারে।
টমাহক হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দীর্ঘপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা স্থল ও সমুদ্র উভয় স্থান থেকেই নিক্ষেপ করা যায়। সর্বোচ্চ ১,৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে আঘাত করতে সক্ষম এই অস্ত্রটি যুদ্ধজাহাজ থেকেই সাধারণত ছোড়া হয়। ওজন প্রায় ১,৫০০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। এটি নন–নিউক্লিয়ার, অর্থাৎ পারমাণবিক নয়।
সম্প্রতি ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে মার্কিন নৌবাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০২৬ সালে ৫৭টি টমাহক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার বাজেট প্রায় ১৩ লাখ ডলার।
ইউক্রেন বর্তমানে মার্কিন তৈরি কয়েক প্রকার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে—ফ্লেমিঙ্গো, নেপচুন, হারপুন ও এটিএসিএম। এর মধ্যে ফ্লেমিঙ্গো দূরপাল্লার হলেও টমাহকের মতো শক্তিশালী নয়। রাশিয়ার উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা সহজেই ফ্লেমিঙ্গোকে আটকায়। এজন্যই টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রই এখন ইউক্রেনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধাস্ত্র।