ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আসিয়ানের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জান্তা সরকারের জন্য কূটনৈতিকভাবে বড় ধাক্কা। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যেই আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের আয়োজন করেছে সেনাশাসক মিন অং হ্লেইং।

সোমবার মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মিয়ানমারে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। আসিয়ান নেতারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সহিংসতা ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের ওপর জোর দেন।

আসিয়ান সূত্রগুলো জানায়, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোনও ঐকমত্য না থাকায় জোট ব্যানারে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হচ্ছে না। তবে পৃথকভাবে সদস্য দেশগুলো চাইলে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মুস্তাফা ইজুদ্দিন বলেন, “আসিয়ানের এই সিদ্ধান্ত মিয়ানমারের বৈধতা অর্জনের প্রচেষ্টায় বড় আঘাত হানবে। এতে নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠুতা নিয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না।”

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও নির্বাচনের আগে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণকে রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীই আজ জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”

এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারের নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে, তারা এমন কোনও প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, যাকে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।

বর্তমানে জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা বৃহৎ এলাকাগুলোতে ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। অভ্যুত্থানের পর থেকে আসিয়ান জান্তা নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।

ইএফ /