দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে বেতন-বোনাস না পাওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের (সিএইচসিপি) ৬৩৪ কর্মী মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মহাখালী বিএমআরসি ভবনের ট্রাস্ট অফিস অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এই কর্মসূচির ফলে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একরকম বন্দি হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আর কোনো আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরবেন না।

অবস্থানকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড, যেখানে লেখা ছিল বেতন চাই, ন্যায্য প্রাপ্য চাই, ১৬ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতেই হবে’, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানেন নাকি, ১৬ মাসের বেতন বাকি’, এবং বেতন না দিলে আন্দোলন, থামবে না থামবে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়া সিএইচসিপি কর্মী রাসেল আহমেদ বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যখাতে মাঠপর্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু ১৬ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে গেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী আমাদের পদায়ন ও আর্থিক পাওনা পরিশোধের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। যতক্ষণ না পদায়ন ও বকেয়া বেতন দেওয়া হয়, আমাদের আন্দোলন চলবে।”

অবস্থানকারীরা আরও জানান, ট্রাস্টের নতুন সৃষ্ট পদগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বা দায়িত্ব বণ্টন হয়নি, ফলে কর্মীরা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

এ বিষয়ে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কর্মীদের নিয়োগ অনুমোদন রয়েছে, চাকরি নিশ্চয় আছে। শুধু বেতন দেওয়া বাকি ছিল। আমি আদেশ দিয়েছি, কিন্তু মন্ত্রণালয় তা স্থগিত করেছে। কোনো সুস্পষ্ট কারণ জানানো হয়নি। যেহেতু বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করছে, আমাদের এখানে আর কিছু করার নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৬০০-এর বেশি কর্মীর ভবিষ্যৎ ও জীবিকা জড়িয়ে আছে এই সমস্যার সঙ্গে, এবং মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে সমাধান দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

অফিস অবরুদ্ধ থাকার কারণে ট্রাস্টের দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।