আসামের পুলিশ জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন শেখরজ্যোতি গোস্বামী ও অমৃতপ্রভ মহন্ত। এদের গ্রেফতারকরণে প্রাথমিক তদন্তে হত্যার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা এই দুইজনকে শুক্রবার আদালত ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
শেখরজ্যোতি ও অমৃতপ্রভ জুবিনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে নৌকায় ছিলেন। তদন্ত অনুযায়ী, একজন সাঁতার কাটার সময় জুবিনের কাছে ছিলেন, আর একজন নৌকা থেকে ভিডিও ধারণ করছিলেন। পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং নর্থ ইস্ট ফেস্টিভালের ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে জুবিনের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জুবিনের স্ত্রী গরিমা গর্গ জানিয়েছেন, “তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আইন তার নিজস্ব পথে চলবে। আমরা তদন্তের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি। দ্রুতই জানা যাবে, ওই দিনে কী ঘটেছিল এবং দায়ী ব্যক্তি কারা।”
আসামের ডিআইজি সিআইডি মুন্না প্রসাদ গুপ্তা জানিয়েছেন, “আমার টিম সিঙ্গাপুরে গিয়ে তদন্ত করতে প্রস্তুত। অনুমতি পেলেই আমরা সেখান যাব। প্রোপার চ্যানেলের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে।”
সিদ্ধার্থ ও শ্যামকানু গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যার চক্রান্ত ও অপরাধমূলক চক্রান্তের ধারা অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, জুবিনের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
গ্রেফতারকৃত অমৃতপ্রভ মহন্তের দাদা ভাস্করজ্যোতি মহন্ত আসামের সাবেক ডিআইজি এবং বর্তমানে চিফ ইনফরমেশন অফিসার। তার বড় ভাই ননীগোপাল মহন্ত মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা।
সিআইডি এখন পর্যন্ত জুবিনের মৃত্যুর বিষয়ে ৬০টি এফআইআর করেছে এবং মহন্তসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। জুবিনের শরীরের দ্বিতীয় অটপ্সি রিপোর্ট তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জুবিনের ভিসেরার নমুনা দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাব পরীক্ষা করছে।