বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) নতুন সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এনামুল হক খান দোলনকে ঘোষণা করেছে। দোলন এর আগেও বাজুসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাজুস কমিটি দোলনকে সকল দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছিল। সম্প্রতি সমঝোতার মাধ্যমে তার বহিষ্কার আদেশ তুলে নিয়ে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি পদ ছাড়াও একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ ও ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। বাজুসের ইতিহাসে প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫–২০২৭ মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা করেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আজাদ আহমেদ, অভি রায় ও ইকবাল হোসেন চৌধুরী, এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অমিত ঘোষ।
২৯ জন পরিচালকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবলু দে, গণেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মণ, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুশান্ত চন্দ্র দে, খোকন কুমার, সৈকত সরকার, মো. আজিজ হোসেন, মো. সঞ্জয়, মো. মকবুল চৌধুরী, মো. মিজানুর রহমান মিন্টু, মাহমুদ হোসেন, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. ফজলুল হক ইসলাম, মো. নাসির মোহাম্মদ, মো. কামরুল ইসলাম, সোনেল সাহা, মোহাম্মদ আবেদিন আহমেদ, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাসিম উদ্দিন নাফিস ও পলাশ কুমার সাহা।
নতুন সভাপতি দোলন বলেন, দেশে সোনা আমদানির প্রক্রিয়া অনেক জটিল। এই প্রক্রিয়া সহজ করা না হলে ব্যবসায়ীরা সোনার সঙ্গে আগ্রহী হবেন না। আমরা চেষ্টা করবো ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে আমদানিকে সহজতর করতে।
তিনি আরও যোগ করেন, সোনা ব্যবসায়ীরা চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত নয়। যারা ব্যবসা করে তারা সোনার বাজারকে নিরাপদ ও নিয়মিত রাখেন।