বেতন ও ভাতা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকরা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে নগর ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা নগর ভবনের বিভিন্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানালেও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না; বরং বিষয়টি বারবার উপেক্ষা করা হচ্ছে।
‘বর্তমান বেতনে সংসার চালানো অসম্ভব’
বর্তমানে রাসিক শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪৮৪ টাকা, যা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। তারা বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রমিকরা দৈনিক ৭৫০ টাকা পান, অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।”
শ্রমিকরা দ্রুত তাদের মজুরি ৭৫০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান। তারা আরও বলেন, “বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্য এত বেড়েছে যে, সন্তানদের পড়াশোনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটানোই কষ্টকর।”
বিক্ষোভে অংশ নেয় আড়াই হাজার শ্রমিক
বিক্ষোভে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের অন্তত আড়াই হাজার শ্রমিক অংশ নেন। তারা দাবি পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
শ্রমিকদের প্রধান দাবিগুলো
১. সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ২২,৫০০ টাকা কার্যকর করা।
২. রাষ্ট্র ঘোষিত দৈনিক ৭৫০ টাকা মজুরি প্রদান।
৩. প্রতিবছর নির্ধারিত উৎসব ভাতা প্রদান।
৪. প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ।
৫. শ্রমিকদের অভিযোগ লিখিতভাবে গ্রহণ ও সমাধান নিশ্চিত করা।
৬. অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বিদায় সম্মাননা প্রদান।
৭. নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করা।
শ্রমিকরা জানান, তাদের দাবি দ্রুত পূরণ না হলে পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সড়ক সংস্কারসহ সব কাজে অসীম মেয়াদি ধর্মঘট শুরু করা হবে। এতে নগর সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইএফ/