দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে অচলাবস্থা কেটে গেছে। রোববার দুপুর ২টা থেকে ১ নাম্বার ইউনিটে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩টি ইউনিট অচল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। রোববার থেকে জাতীয় গ্রিডে আপাতত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে।
৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সর্বশেষ মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছিল ২য় ইউনিট থেকে। কিন্তু ওই ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় একপর্যায়ে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটি থেকে।
জানা গেছে, সমস্ত যান্ত্রিক ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগতে পারে। ইতোমধ্যে চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বার্তা চলছে।
৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউনিট রয়েছে মোট ৩টি। যার মধ্যে এক এবং দুই নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদনের ২ নম্বর ইউনিট একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরসহ উত্তরের ৮ জেলায় বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয় চলছে।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, তৃতীয় ইউনিটসহ ৩টি ইউনিটেরই স্ট্রিম সেন্সরের ৪টি টার্বাইন কাজ না করা প্লান্টের জন্য একটি বড় বিপর্যয়।