ফেনীর দাগনভূঞায় মো. আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দাগনভূঞা পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামের গফুর ভান্ডারী বাড়িতে ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমগীর ওই বাড়ির আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। চলতি বছরের শুরুতে নায়ারণগঞ্জে আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। তারপর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব ও পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে। গতকাল রাতে আলমগীর বাড়িতে এলে তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সর্বশেষ আজ বেলা ১১টার দিকে স্বজনরা তার ঘরে গিয়ে বাথরুমের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের ছেলে কামরুল ইসলাম নিরব বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাবা বাড়িতে আসেন। তারপর আম্মুর সঙ্গে ঝগড়া হয়। সকালে বাবার সাথে কথা বলে কাজে চলে যাই। পরে ১১টার দিকে খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসেছি। বাবা নতুন করে বিয়ের পর আমাদের ভরণপোষণ কিছুই দিতেন না। কিছুদিন আগে আম্মুসহ ঢাকায় বাবার কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করলে আমরা আবার বাড়ি চলে আসি।

এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ সমাচার প্রতিদিনকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে। এখনো কোনো বিষয় স্পষ্ট নয়। রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।