ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যে জানা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন মনোনয়নবঞ্চিত আহমেদ তায়েবুর রহমান হিরনের সমর্থকরা। ওইদিন জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ইকবালের সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় হিরনপন্থিরা।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইকবাল সমর্থকরা হিরনের মহিলা সমাবেশে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এর পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হলেও তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে একটি পক্ষ সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
অন্যদিকে, হিরনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, ইকবালপন্থিরাই প্রথমে তাদের মহিলা সমাবেশে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে, এতে তাদের বহু কর্মী আহত হন।
এদিকে শনিবার রাতেও উত্তেজনা ছড়ায়, যখন জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পুর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে ৪০টি রামদা উদ্ধার করে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।