চাঁদপুরে ইলিশের প্রজনন রক্ষার জন্য শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ হবে। ঠিক তার আগে চাঁদপুরের মাছঘাটগুলোতে ইলিশের দাম চড়েছে।

বৃহস্পতিবারের পর কিছু জেলে মাছ ধরে চাঁদপুর মাছ ঘাটে নিয়ে আসেন। আজ সকালে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ২৭০০ টাকায়, ৭০০–৮০০ গ্রামের ইলিশ ২২০০ টাকা, ৫–৬শ গ্রাম ১৬০০ টাকা, আর ৪–৩শ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। আজ মাত্র ১০০ মণ মাছ সরবরাহ হয়েছে, চাহিদা বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরছেন।

চাঁদপুরের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, “ইলিশের দাম বাংলাদেশে আকাশচুম্বী, সাধারণ মানুষের জন্য ক্রয়যোগ্য নয়।” হাজীগঞ্জ থেকে আসা সফিকুর রহমান বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় ঘাটে ইলিশের দরদাম দেখার জন্য এসেছি, তবে মাছের তুলনায় ক্রেতা বেশি।”

রাজশাহী থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “পদ্মা-মেঘনা থেকে সরাসরি এখানে ইলিশ আসে। বরফ ছাড়া তাজা মাছ পাওয়া যায়। তবে দাম বেশি হওয়ায় কেনা সম্ভব হয়নি।”

চাঁদপুর মাছঘাটের বিক্রেতা নবীর হোসেন বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার ইলিশ কম এসেছে। চাহিদার তুলনায় ক্রেতা বেশি হওয়ায় দামও বেশি।” মেসার্স আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক নূরে আলম এবং মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাতও একই বিষয় উল্লেখ করেছেন। আজ মাত্র ১০০ মণ মাছ সরবরাহ হয়েছে, চাহিদার তুলনায় কম আসায় দাম চড়া।