নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড)-এর চারটি কারখানা হঠাৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎকণ্ঠা ও বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) কর্তৃপক্ষের নোটিশের মাধ্যমে বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর সোমবার সকালে কর্মস্থলে এসে তা জানতে পেরে শ্রমিকরা মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেডের শ্রমিক হালিম মিয়া বলেন, হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমরা পরিবার চালাই এই আয়ের ওপর নির্ভর করে। আমরা চাই, কারখানা পুনরায় খোলা হোক।
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। সোমবার সকালে কিছু শ্রমিক গেটের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা পরিস্থিতি মনিটর করছি।
এদিকে, নীলফামারী সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. আর. সাঈদ জানান, ইপিজেড এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা বিষয়ে উত্তরা ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কার্যকর সংলাপের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেছে।
বিক্ষোভ চলতে থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের পরিবারের উদ্বেগও বেড়েছে। তারা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে এবং তাদের জীবিকা নিশ্চিত হবে।