বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপজেলা দিবসের আলোচনা সভা-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে রেখে তাদের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। আমাদের দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে, কিন্তু আজ আদালতে মাসের পর মাস মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়ছে। অন্য দলের আইনজীবীরা মামলা ফেস করতে পারছে না, জেলখানায় থাকা ব্যক্তিরাও আদালতে যেতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সম্মুখসারিতে ছিলেন, যেখানে দুই নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন এবং অসংখ্য নেতা জেলে গিয়েছিলেন। অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পার্টির সাথে বৈষম্য শুরু করেছে। সংলাপে ডাকা হয় না, সমাবেশ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া শেখ হাসিনার সমর্থকরা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

মোস্তফা দেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, কোনো জায়গাতেই মানুষ স্বস্তিতে নেই। পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক নয়, সচিবালয়-হাইকোর্ট স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। শৃঙ্খলা নেই। সুশাসন নিশ্চিত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হোক, সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হবে।

তিনি পুলিশি উচ্ছেদ ও উপদেষ্টাদের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপকেও সমালোচনা করেন। আজ ঢাকায় বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের মিটিং ভেঙে দিয়েছে। অথচ আমাদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

মোস্তফা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, জাতিসংঘ থেকে সৈন্য ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিদেশি শক্তিগুলো থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। চারদিকে আগুন-সন্ত্রাস, বিমানবন্দর, ট্রেন, মীরপুরে আগুনের লেলিহান শিখা। অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে দুর্বল রাষ্ট্রের অর্থনীতি আরও দুর্বল হচ্ছে। এভাবে চললে সোনার বাংলা আর থাকবে না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিম এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম