সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে প্রথমদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি ছিল না।
এরপর সোমবার (২০ অক্টোবর) ‘কামারখন্দে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্ট। সংবাদটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরই রাতের দিকে কামারখন্দ থানা পুলিশ জানায়, ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় দুপুরেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি আগে প্রকাশ করা হয়নি।
থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ভুক্তভোগীর মা মোছা. মোসলিমা খাতুন কামারখন্দ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “মামলাটি দুপুরেই রেকর্ড করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সময়মতো সব জানানো হবে।”
তবে বিকেল ও সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, মামলাটি তখনও হয়নি—“আমরা তদন্ত করছি।” পরে রাতে তিনি বলেন, “মামলার বিষয় আগে জানালে তদন্তের গোপনীয়তা থাকে না। অনেক সময় মামলা নম্বর দেরিতে যুক্ত হয়। তাই বিষয়টি জানানো হয়নি।”
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, কামারখন্দ উপজেলার সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে’ নিয়ে ওই কিশোরীকে সিএনজিতে তুলে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাস্থলে ধর্ষকের সঙ্গে ৫–৬ জন বন্ধু উপস্থিত ছিল, যারা বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। অভিযোগ রয়েছে, মেয়েটির চিৎকার যাতে বাইরে না যায়, সে জন্য তারা উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিল।
ঘটনার পর এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সকল আসামির গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলেছে, মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।