সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গোদনাইল বাজারে সালাউদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সালাউদ্দিন। রাত নয়টার দিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে। জরুরি বিভাগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি—এ তথ্য নিশ্চিত করেন বড় ছেলে আমির ফয়সাল রাতুল।

রাতুল বলেন, বাবার মুখে, গলায়, হাতেও গুলি লেগেছিল। গলার ভেতরে স্প্লিন্টার বের করা যায়নি। কয়েক দিন ধরে কাশির সঙ্গে রক্ত পড়ছিল। ডাক্তার কথাও বলতে মানা করেছিলেন। গতকাল (রোববার) প্রচন্ড কাশি উঠলে আর পারলেন না।

নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল এলাকার নিজ বাড়িতেই স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন সালাউদ্দিন। সরকার ঘোষিত আহত তালিকায় তার নাম ছিল ১৩২ নম্বরে। 
জুলাই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জুলাই আন্দোলনে গুরুতর আহত হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন সরকারি সহায়তা ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি মুদি দোকান। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে দোকানে নিয়মিত বসতে পারতেন না। দোকান সামলাতেন বড় ছেলে রাতুলই।

সালাউদ্দিনের স্ত্রী রানী বেগম বলেন, আমরা ধার–দেনা করে চিকিৎসা করেছিলাম। পরে সরকার থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি। কিন্তু গলার স্প্লিন্টারটা উনাকে খুব কষ্ট দিত। কাশির সময় গলা ব্যথা করত, রক্ত পড়ত, কিন্তু উনি কিছু বলতেন না। কাশির সময় ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন।

গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সালাউদ্দিন ভূঁইগড় এলাকায় একটি দোকানে কাজ করতেন। ১৯ জুলাই শহরজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে তিনিও অংশ নেন মিছিলে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন। নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পাঠানো হয় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। সেখানেই এক চোখের দৃষ্টি হারান।