ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদকের পর এবার মহানগর যুবদলের শীর্ষ দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি এম এম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মহানগর যুবদলের নেতৃত্বে শৈথিল্য ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নজরে এসেছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদরের পরমান্দপুর বাজারে গণসংযোগের সময় এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সঙ্গে সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

ঘটনাস্থলে উত্তেজনাকর স্লোগান ও গাড়িতে আখ ছুড়ে মারাসহ কাচ ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিছিলে একজনের হাতে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়।

পাল্টা অভিযোগ এনে নায়াব ইউসুফ বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এ কে আজাদের সফরসঙ্গী ছিল এবং তাদের উসকানিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে, এ কে আজাদ দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নায়াব ইউসুফ মিথ্যাচার করছেন।

এ বিষয়ে মহানগর যুবদল সভাপতি এম এম ইউসুফ বলেন, আমাদের নামে শোকজ হয়েছে কিনা, তা এখনো লিখিতভাবে জানানো হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক ফোনে জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল ৪টার মধ্যে ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।