পঞ্চগড় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মজিদ জামায়াতে ইসলামী নিয়ে এক সভায় দেয়া বক্তব্য অনিচ্ছাকৃত ভুল উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি করতে পারবে না এবং দলটি আবারও নিষিদ্ধ করা হবে। তবে পরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বলেন, ওই বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার তার নেই এবং এটি একটি ভুল ছিল।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘অদ্য পঞ্চগড় জেলার হাড়িভাষা ইউনিয়ন যুবদলের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী দলকে নিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্য দিয়েছি। এমন নীতি নির্ধারণী বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। এমন অনিচ্ছাকৃত বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ঢাকা পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি অসচেতনভাবে বলেছিলাম। এমন বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আমার নেই, কারণ এটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিষয়। কথা প্রসঙ্গে আসতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি ভুল হয়েছে। আমি সেই বক্তব্যটি প্রত্যাহার করছি।”
এর আগে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা স্কুল মাঠে হাড়িভাসা ইউনিয়ন যুবদল আয়োজিত এক যুব সমাবেশে এম এ মজিদ বলেন, “বাংলাদেশে দুটি দল নিষিদ্ধ হয়েছে—একটি জামায়াতে ইসলামী, অপরটি আওয়ামী লীগ। ৫৪ বছরে জামায়াত দুইবার এবং আওয়ামী লীগ একবার নিষিদ্ধ হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগ করেন, সবাই খারাপ নন। সব দলে ভালো-মন্দ মানুষ থাকে। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তাদের আমরা সাদরে গ্রহণ করব।”
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “আওয়ামী লীগকে আপনি বহুবার ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তারা আপনাদের জমি-বাড়ি দখল করেছে, ব্যবহার করেছে—কোনো প্রতিদান দেয়নি। আপনারা বিএনপির সঙ্গে আসুন, আমরা প্রমাণ করব হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই—আমরা একসাথে থাকতে চাই।”
সভায় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ময়নুল ইসলাম মুন্নার সঞ্চালনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবু, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সবুজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।