দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর একটি ইউনিট রোববার (২৬ অক্টোবর) উৎপাদনে ফিরেছে। উৎপাদনে যাওয়া ১ নং ইউনিটটির ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন।

রোববার সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।

আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের এক নম্বর ইউনিটটি থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লা দরকার হবে।

তিনি আরও জানান, গত ১৯ অক্টোবর (রোববার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে যায়। ফলে এক নম্বর ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। আর ২০২০ সাল থেকে দুই নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

জানা যায়, এদিকে তাপবিদ্যৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে এক নম্বর ইউনিটটিতে রোববার দুপুর ১২টায় প্রথম বয়লারে ফায়ারিং শুরু করে। তবে সূত্র জানায়, ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে এখনও জাতীয় গ্রীডে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সূত্র মতে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াটের এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামত কাজ শেষে রোববার দুপুর ১২টায় ইউনিটটির বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছুক্ষণ পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০দিন সময় লাগবে।’