রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে এক যুবককে আটক করেছে প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকার অর্থদণ্ড দেন।
আটক যুবকের নাম মেহেদী হাসান হৃদয় (২৫)। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রাঘবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মকবুল হোসেন।
জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব প্রশাসন ও এর আওতাধীন উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে মোট ২২টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। গত ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অফিস সহায়ক পদে ১০০ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৪ জন উত্তীর্ণ হন।
রোববার সকালে অফিস সহায়ক পদে ৫০ জন প্রার্থীর ভাইভা পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় এক প্রার্থীর ওপর। পরবর্তীতে তার কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, তিনি আসল প্রার্থী নন অন্য কারও হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এ সময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০০ টাকার অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও একদিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ যদি প্রতারণার আশ্রয় নেয়, তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পরবর্তীতে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রক্সি বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পরীক্ষার নিরাপত্তা ও যাচাই প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হবে।