নোয়াখালীর সেনবাগে সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে দ্রুত পালিয়ে যান। শনিবার বিকেলে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট স্কুল এলাকা থেকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লিটন কয়েক দিন ধরে সরকারি খাস জমি থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর সেনবাগ ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার অভিযান চালান। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা ফোন দিলেও তিনি ফিরে আসেননি।
অভিযানের অংশ হিসেবে ইউএনও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিনের মালিক আবুল বাশারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয়রা জানান, লিটন আগেও জুলাই মাসে একই স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিলেন। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সেই সময় কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল।
এই বিষয়ে লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, “আমি মাইজদীতে আছি, আমি বালু উত্তোলন করি নি।” এরপর কল কেটে দেন।
সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার হোসেন পাটওয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, “দলের পরিচয় দিয়ে কেউ বেআইনি কাজ করলে আমরা তা সমর্থন করি না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
সেনবাগ ইউএনও শিরীন আক্তার জানান, লিটনকে ফোন দিয়ে বারবার ডেকে আনার চেষ্টা করা হয়, তবে তিনি আসেননি। তাই ড্রেজার মেশিনের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক করেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের অনিয়মে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর এলাকায় শাসনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।